নিউজথ্রি :: ভারতে উত্তর প্রদেশের বেরিলি জেলায় এক হিন্দু নারীকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগে ওয়াইস আহমেদ (২২) নামে এক মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটার বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খবর বিবিসির। বুধবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার ওই যুবককে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। জামিন অযোগ্য এ আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
উত্তর প্রদেশে নতুন ধর্মান্তরবিরোধী আইনে এই যুবককেই প্রথম গ্রেফতার করা হলো।ভারতের চরমপন্থি বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, মুসলমানরা সে দেশে পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করছে । বিয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার এ প্রক্রিয়াকে তারা ‘লাভ জিহাদ’ বলে অ্যাখ্যা দিচ্ছেন।
চরমপন্থি হিন্দুদের চাপের মুখে সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে নতুন এ ধর্মান্তররোধী আইন করা হয়েছে। ওই আইনকে সমালোচকরা ইসলামোফোবিক আইন নামে অভিহিত করেছেন। তবে শুধু উত্তর প্রদেশই নয়, ভারতের আরও অন্তত চারটি রাজ্য ধর্মান্তরবিরোধী আইন পাসের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা বিবিসি।
ওয়াইস আহমেদের বিরুদ্ধে যে নারীকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সেই নারীর বাবা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওয়াইস তার মেয়েকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল এবং তার কথা না শুনলে ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি দিচ্ছিল। এজন্য বাধ্য হয়েই তিনি থানায় অভিযোগ করেন।
সেই অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওয়াইসের সঙ্গে এক সময় ওই নারীর প্রেম ছিল। যদিও, তিনি চলতি বছরের শুরুতে আরেকজনকে বিয়ে করেন।
পুলিশের বরাতে বিবিসি বলেছে , ওই নারীর পরিবার এক বছর আগেও এই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেছিল। তবে, অভিযোগের সত্যতা না মেলায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। এবারো যুবকটি সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছে, তার সঙ্গে ওই নারীর এখন কোনো যোগাযোগ নেই।#